আদিকালে ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। পৃথিবী ছিল শূন্য ও অন্ধকার। ঈশ্বর বললেন, আলো হোক। সঙ্গে সঙ্গে আলো হলো। ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলো ভিন্ন করে দিলেন। আলোর নাম রাখলেন 'দিন' এবং অন্ধকারের নাম 'রাত্রি'। ঈশ্বর দিনের জন্য সূর্য তৈরি করলেন এবং রাতের জন্য চাঁদ ও তারা। তিনি সূর্য, চাঁদ ও তারা আকাশের বুকে বসালেন, যেন পৃথিবী আলোকিত হয়।
তারপর ঈশ্বর বললেন, সমস্ত জল এক জায়গায় আসুক ও ভূমি জেগে উঠুক। তখন স্থলভাগ জেগে উঠলো এবং সাগরের সৃষ্টি হলো।
তারপর ঈশ্বর বললেন, মাটি থেকে ঘাস ও ফলের গাছ উৎপন্ন হোক। তখনই মাটিতে ঘাস ও সবরকমের গাছ জন্মাল। তখন ঈশ্বর চেয়ে দেখলেন, তাঁর সমস্ত কাজ চমৎকার। (আদিপুস্তক ১: ১-১২)
ঈশ্বর তাঁর মুখের কথায় সবকিছু সৃষ্টি করলেন। দিন, রাত, সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-তারা, আকাশ, বাতাস, গাছপালা ও পানি সবই মানুষের জীবন যাপনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এদের ওপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল। এই সুন্দর সৃষ্টির জন্য আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। যত্নের সাথে আমরা সৃষ্টির প্রতিটি উপাদান ব্যবহার করি।
ক) ভেবে উত্তর দেই।
i) আদিকালে ঈশ্বর কী সৃষ্টি করলেন?
ii) তখন পৃথিবী কেমন ছিলো?
iii) ঈশ্বর আলোর নাম কী দিলেন?
vi) ঈশ্বর অন্ধকারের নাম কী দিলেন?
v) তিনি দিনের জন্য কী সৃষ্টি করলেন?
vi) তিনি রাতের জন্য কী সৃষ্টি করলেন?
vii) সূর্য, চাঁদ, তারা কেন আকাশে বসালেন?
viii) মাটি থেকে কী উৎপন্ন হলো?
খ) গান করি।
সুন্দর পৃথিবী, সুন্দর ভগবান, যিনি এই আকাশ সৃষ্টি করলেন।
এ পাঠে শিখলাম
- সৃষ্টির আগে পৃথিবী দেখতে শূন্য ও অন্ধকার ছিলো। তিনি দিন ও রাত্রি সৃষ্টি করলেন।
- দিনে আলো দেবার জন্য সূর্য এবং রাতে আলো দেবার জন্য চাঁদ ও তারা সৃষ্টি করলেন। তিনি স্থলভাগের নাম দিলেন ভূমি এবং জলভাগের নাম দিলেন সাগর। মাটিতে গাছপালার জন্ম হলো।
আরও দেখুন...